নারী পাচারের অভিযোগ, খুঁটিতে বেঁধে বেধড়ক মার দুই মহিলাকে



মালদা Update ডেস্ক: নারী পাচারের অভিযোগে এলাকারই দুই মহিলাকে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে লাঠিপেটা করলো গ্রামের প্রমিলা বাহিনী। এমনকি ওই দুই মহিলাকে ব্যাপক গণপিটুনি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ । ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় তদন্তে যায় পুলিশ । জনরোষের হাত থেকে ওই দুই মহিলাকে উদ্ধার করে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পুরাতন মালদা থানার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের সোনাপল্লী এলাকায়। 

এই ঘটনায় এলাকারই নিখোঁজ হয়ে যাওয়া এক গৃহবধুর পরিবারের পক্ষ থেকে ওই দুই মহিলার বিরুদ্ধে নারী পাচারের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট থানায়। পুরো ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুরাতন মালদা থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে , আটক দুই মহিলার নাম মিঠু রায় (৩৫) এবং নমিতা পাল (৪০)। এদের বাড়ি সোনাপল্লী এলাকায়।  গত বুধবার এলাকারই এক গৃহবধূ আন্না পালকে (৩০) তার বাড়ি থেকে পালাতে  সাহায্য করে অভিযুক্ত ওই দুই মহিলা। এই ঘটনার পিছনে ওই দুই মহিলার নারী পাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে বলে নিখোঁজ গৃহবধূ পরিবার এবং এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ। 

এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে অভিযুক্ত দুই মহিলাকে বাড়ি থেকে নিয়ে আসে রাস্তার বৈদ্যুতিক খুঁটিতে বেঁধে ব্যাপক গণপিটুনি দেওয় হয় বলে অভিযোগ। এমনকি ওই দুই মহিলার গণপিটুনির ছবি অনেকেই ক্যামেরায় বন্দির পর ভাইরাল করে দেয় বলে অভিযোগ। এদিকে নিখোঁজ ওই গৃহবধূর স্বামী সুকুমার পাল, পেশায় অটোচালক। তাদের দুই নাবালিকা ছেলে মেয়ে রয়েছে। সুকুমারবাবুর অভিযোগ, তাঁদের বাড়িতে অভিযুক্ত দুই মহিলা মিঠু রায় ও নমিতা পাল নিয়মিত যাতায়াত করতো । 

তার স্ত্রী আন্না পালের সঙ্গে ওদের বন্ধুত্ব ছিল। ওদের প্ররোচনাতেই  স্ত্রী আন্না পাল নারীপাচার চক্রের খপ্পরে পড়েছে। বুধবার বিকালে তিনি বাড়িতে ছিলেন না । সেই সময় স্ত্রীকে একটি গাড়িতে উঠিয়ে বাইরে পালানোর সাহায্য করেছে অভিযুক্ত দুই মহিলা। এই ঘটনাটি জানাজানি হতেই এলাকার বাসিন্দারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এরপর বৃহস্পতিবার সকালে ওই দুই মহিলাকে গণপিটুনি দেওয়া হয়। কিন্তু ওই দুই মহিলা আন্না পাল কোথায় গিয়েছে সে সম্পর্কে পরিষ্কার করে কিছু জানায় নি। সুকুমারবাবুর অভিযোগ,  অভিযুক্ত দুই মহিলার মাধ্যমে তার স্ত্রী নারীপাচার চক্রের খপ্পরে পড়েছে। পুরো ঘটনার ব্যাপারে পুরাতন মালদা থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি।

No comments:

Powered by Blogger.